গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|
আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে একদল অনুসন্ধানকারী গিয়ে পৌঁছায় উত্তর ইটালির মার্সেল লৌবেন গুহায়। ওই গুহাটির ভিতর একটি সুরঙ্গ মাটির ৮৫ ফুট নীচে নেমে গিয়েছে। সরু, আঁকাবাঁকা, দুর্গম সেই পথ অনুসরণ করে নীচে নামতে সন্ধান মেলে রহস্যজনক একটি মানবখুলির!
এমন দুর্গম এবং গভীর জায়গায় মানুষের মাথার খুলি কীভাবে আসল! সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই শুরু হয় গবেষণা। ২০১৭ সাল থেকে খুলিটির উপর পরীক্ষানিরীক্ষা চলে। জানা গিয়েছে ওই গুহায় এক গবেষকের নেতৃত্বে ১২ জন প্রত্নতত্ত্ববিদের একটি দল অনুসন্ধানের জন্য যায়। তারা প্রথমে খুলিটি দেখলেও বেরনোর সময় সঙ্গে করে আনেননি। পরে তারা আবার গুহায় যায় এবং খুলিটিকে সংগ্রহ করে। তারপরেই শুরু হয় গবেষণা।
গবেষণায় শুরুতেই জানা গিয়েছিল, ওই খুলিটি একজন মহিলার। যার বয়স ৫,৪০০ বছর! আশ্চর্যজনক বিষয় হল, একজন মহিলা কীভাবে ওই দুর্গম জায়গায় এসে পৌঁছাল? তার মৃত্যুর কারণই বা কী ছিল? এই সকল অজানা প্রশ্ন ভিড় করতে থাকে গবেষকদের মাথায়। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছিল তাদের। সেই মতো শুরু হয় জোর কদমে গবেষণা।
বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষার পর জানা গিয়েছে, ওই মহিলা মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন ব্যাপী অপুষ্টিতে ভুগেছিলেন। এমন তথ্যও উঠে এসেছে যে, মৃত্যুর পর ওই মহিলার শরীর হতে মাংস খুবলে নেওয়া হয়েছিল! কিন্তু কেন এমন নৃশংসতা? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও আজানা। এই রহস্যজনক মৃত্যুর সমাধান এখনও পর্যন্ত হয়নি।
রহস্য উদ্ঘাটন না হলেও বিজ্ঞানীরা উল্লেখিত ওই গুহাটির কিছু দূরেই মানুষের আরও হাড়গোড়ের সন্ধান পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ওই জায়গাটি অতীতে কবরস্থান ছিল বলে দাবি গবেষকদের। আরও জানা গিয়েছে, আগে ওই জায়গার পাশ থেকেই জলস্রোত বইত এবং সেই জলধারা ঢুকত গুহার ভিতরেও। আপাত ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ওই জলের স্রোতেই হয়তো কোনওভাবে কোনও কঙ্কালের ধড় থেকে খুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে ভেসে গিয়ে গুহায় এসে পড়েছে। এ বিষয়ে এখনও গবেষণা চলছে।