রোজ প্রাতঃভ্রমণে যাওয়া পরিমলবাবুর একটা বাতিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘর্মাক্ত শরীরের উপর সকালের মিঠে বাতাসের স্পর্শ পেতে পেতে আজকে মাঠ পেরিয়ে তিনি চলে এসেছেন পোড়ো রাজবাড়ির সামনে। রাজবাড়ির চলটা ওঠা দেওয়াল থেকে নিঃসৃত সোঁদা গন্ধ উপভোগ করছিলেন এমন সময় একটা জিনিসে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন পরিমলবাবু। এমন ঝটকার অকস্মাৎ আগমন সামলাতে বেশ সময় লাগল ওনার। তারপর নিজেকে মাটি থেকে তুলে ধুলো ঝেড়ে তাকিয়ে দেখলেন— একটা সোনালি জিনিস সূর্যের আলোতে চকচক করছে।

জিনিসটাকে হাতে তুলে নিয়ে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে বুঝলেন কোনও গাছের বীজ। তবে বীজটা আকারে বেশ বড়, একটা বাবুই পাখির ডিমের সমান। উদ্ভিদবিশারদ পরিমলবাবু পূর্বে বহু উদ্ভিদ নিয়ে কাজ করেছেন; কিন্তু এই বীজটা কোন উদ্ভিদের সেটা ওনার বোধগম্য হল না। বীজটার বিষয়ে ভালোভাবে অনুসন্ধান করার জন্য পকেটে পুরে তাকে ঘরে নিয়ে এলেন।

 পরিমলবাবুর বসার ঘরের জানলাটার কাছে ভালোই রোদ আসে সকালবেলা। তাই ওখানে টবটা রেখে কিছুটা মাটি নিয়ে জল দিয়ে বীজটাকে তার ভিতরে পুঁতে দিলেন। প্রথম পাঁচ-ছ’দিন টবে কোনও পরিবর্তন চোখে পড়ল না। দশম দিনে তিনি দেখলেন একটা সবুজ চারাগাছ টব থেকে মাথা তুলে উঁকি দিচ্ছে। কুড়ি দিনের মধ্যে গাছটা প্রায় ১৫সেমি লম্বা হয়ে গেল। বেশ কয়েকটা পাতাও গজিয়ে উঠল। গাছের পাতাগুলো বিচুটি পাতার মতন রোঁয়াযুক্ত। প্রথমে পরিমলবাবু ভেবেছিলেন এটা হয়তো বিচুটি পাতার মতো কোনও বিষাক্ত গাছ। তাই প্রথমে একটা গিনিপিগকে ওই গাছটার কাছে ছেড়ে দিলেন, গিনিপিগটার মধ্যে কোনও পরিবর্তন লক্ষ করা গেল না। এমনকি একটা পাতাও সে দিব্যি গলাধঃকরণ করে নিল। পরিমলবাবু একটু আশ্বস্ত হয়ে ভাবলেন— তবে এটা কোনও বিষাক্ত গাছ নয়। এরপর নোটবুকটা বার করে গাছের বৃদ্ধির বিভিন্ন দশা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নথিভুক্ত করে নিলেন। তার সাথে ক্যামেরাতে গাছের কয়েকটা ছবিও তুলে নিলেন প্রমাণ হিসাবে।

দেখতে দেখতে এক মাস কেটে গেল। ডালপালা ছড়িয়ে পাতা সমৃদ্ধ হয়ে পরিমলবাবুর গাছটা এখন কৈশোরে পদার্পণ করেছে। একদিন বিকেলে পরিমলবাবু লেখালেখিতে ব্যস্ত এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠল। পরিমলবাবুর প্রতিবেশি প্রান্তিকবাবু এসেছেন। প্রান্তিকবাবুর বয়স এখন সত্তর হবে। আগে চাকরিসূত্রে দিল্লিতে থাকতেন, অবসর গ্রহণের পর পরিমলবাবুর বাড়ির পাশে একটা বাড়ি বানিয়েছেন। কাজের সময় পরিমলবাবু লোকজন একদম পছন্দ করেন না। তবু সামাজিকতার খাতিরে প্রান্তিকবাবুকে ভেতরে আসতে বললেন। বসার ঘরের সোফার উপর প্রান্তিকবাবুকে বসতে বলে ওনার জন্য কফি বানাতে রান্নাঘরে চলে গেলেন। রান্নাঘর থেকে কফি নিয়ে এসে যখন বসার ঘরে ঢুকলেন তখন প্রান্তিকবাবু তার নতুন আনা গাছটাকে স্পর্শ করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাকে আসতে দেখে প্রান্তিকবাবু বললেন, “গাছটা নতুন লাগিয়েছ বুঝি!”

পরিমলবাবু মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালেন। প্রান্তিকবাবু মুখে এক গাল হাসি নিয়ে বললেন, “বুঝলে! আমি যখন দিল্লিতে ছিলাম, তখন আমার গাছের প্রতি ভালবাসার জন্য ইন্দিরা গান্ধি আমাকে বেশ সমীহ করতেন। ওনার বাড়িতে কোনও নতুন গাছ নিয়ে আসলেই আমাকে ডেকে দেখাতেন।”

পরিমলবাবু বেশ বুঝতে পারলেন এসবকিছু গুল ছাড়া আর কিছু নয়। তবু জোরজবরদস্তি মুখে হাসি রেখে ওনার কথাগুলোকে প্রশ্রয় দিচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি লক্ষ করলেন প্রান্তিকবাবুর হাতের স্পর্শে তার গাছের পাতাগুলো লাল হয়ে গেছে; গাছের ডালগুলোও মুষড়ে পড়েছে। আতঙ্কে আর্তনাদ করে উঠলেন পরিমলবাবু, “আমার গাছের এ কী হল!”

প্রান্তিকবাবু গাছের পাতাটা ছেড়ে দূরে সরে দাঁড়ালেন। পরিমলবাবু সঙ্গে সঙ্গে জলের স্প্রে গাছটার গায়ে ছিটিয়ে দিলেও গাছটার কোনও পরিবর্তন হল না। পরিমলবাবুর এমন উদ্ভ্রান্তের মতো অবস্থা দেখে প্রান্তিকবাবু চুপিচুপি চলে গেলেন। অবশেষে দশ মিনিট পর গাছটা আবার আগের অবস্থায় ফিরে এল। পরিমলবাবু মনে মনে ভাবলেন— প্রান্তিকবাবুর হাতে নিশ্চয়ই বিষাক্ত কিছু ছিল। তাই গাছটা ওমনভাবে মুষড়ে পড়েছিল।

এভাবে আরও‌ পাঁচদিন কেটে গেল। গাছটার মধ্যে বিশেষ কোনও পরিবর্তন লক্ষ করা গেল না। একদিন সকালে পরিমলবাবু গাছটার পরিচর্যা করছেন এমনসময় তার পকেটে থাকা ফোনটা বেজে উঠল। ফোনটা বার করে দেখলেন নিরুপম ফোন করেছে। নিরুপমের নামটা দেখেই রাগে গরম হয়ে গেল তার শরীরটা। নিরুপম তার কলেজের বন্ধু, একসাথে বহু গবেষণার কাজও করেছেন। কিন্তু গতবছর যা ঘটেছিল তারপর নিরুপমের প্রতি সমস্ত শ্রদ্ধা, বন্ধুত্ব তার চলে গিয়েছে। তার আবিষ্কৃত ক্ষরা প্রতিরোধী এবং উচ্চ কার্বন ডাইঅক্সাইড ঘনত্বেও চাষযোগ্য ‘মৌসম’ ধানের কথা তিনি নিরুপমকে অনেক বিশ্বাসের সাথে বলেছিলেন। এমনকি তার গবেষণা‌ পত্রের খসড়াও তাকে দেখিয়েছিলেন। কিন্তু নিরুপম তার সাথে প্রতারণা করে সেই ধানকে নিজের আবিষ্কার বলে জার্নালে প্রকাশ করে দেয়। এত বড় প্রতারণার পর নিরুপমের সাথে কথা বলা তো দুরস্ত ওর মুখও পরিমলবাবু দেখতে চায় না। তবু তিনি নিষ্ঠুর হয়ে ফোনটা কাটতে পারলেন না। ফোনটা ধরতেই নিরুপম বলল, “কী রে! কেমন আছিস? অনেকদিন কোনও খোঁজখবর নেই।”

পরিমলবাবু সমস্ত রাগ গলাধঃকরণ করে বললেন, “ভালো। তোকে তো শুনলাম ভারত সরকার বিশেষ পুরস্কার দেবে।‌”

নিরুপম মৃদু হেসে বলল, “আর বলিস না! এখন তো সাংবাদিকরা আমার পিছন পিছন ঘুরে বেড়াচ্ছে। তা তুই নতুন কিছু নিয়ে গবেষণা করছিস নাকি? “

আগে হলে হয়তো পরিমলবাবু গাছটার ব্যাপারে নিরুপমকে সব বলে দিত। কিন্তু এখন সে আর কিছু বলতে চাইল না। তাই বাধ্য হয়ে গাছের গায়ে হাত বোলাতে বোলাতে মিথ্যা কথা বললেন, “না! এখন‌ কিছু নিয়ে ভাবছি না। শুধু বিশ্রাম নিচ্ছি।”

কথাটা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই ম্যাজিকের মতো বদলে গেল গাছের রং। নিদারুণ কষ্টে মুষড়ে পড়ল তার ডালপালা। শীতল স্রোত বয়ে গেল পরিমলবাবুর মেরুদন্ড দিয়ে। ভোঁ ভোঁ করতে শুরু করেছে ওনার মাথা। নিজের অজ্ঞাতসারে এ কেমন আবিষ্কার করে ফেলেছেন তিনি! ফোনটা অনেকক্ষণ আগেই হাত থেকে পড়ে গেছে। এবার মাটিতে বসে পড়ে গাছের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলেন তিনি। এভাবে পাঁচ-ছয় মিনিট অতিবাহিত হয়ে গেল। গাছটা আবার আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। ইতিমধ্যে দুয়ে-দুয়ে চার করে পরিমলবাবু সমাধান করে ফেলেছেন এই গাছের রহস্য। গাছটার দিকে সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন, “তুই সত্যি-মিথ্যার বিচার করতে পারিস; তাই তোর নাম দিলাম ‘যুধিষ্ঠির’।”

পরিমলবাবুর যুধিষ্ঠিরকে নিয়ে গবেষণাপত্র তৈরি করতে সময় লাগল পাক্কা দেড় মাস। একটা আন্তর্জাতিক জার্নালে তার আবিষ্কার প্রকাশ পেতেই চারিদিকে তার নাম যেন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ল। দেশ-বিদেশের গবেষক, সাধারণ মানুষের ঢল নামল তার বাড়িতে। তবে যুধিষ্ঠিরকে সবার সামনে প্রকাশ করতে চাইতেন না পরিমলবাবু। হয়তো অপত্য স্নেহের বাঁধনে যুধিষ্ঠির তাকে জড়িয়ে ফেলেছে। তাই যুধিষ্ঠিরের প্রতি ওনার এত অধিকারবোধ।

একদিন প্রাতভ্রমণ সেরে ফিরেছেন পরিমলবাবু, এমনসময় একটা আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে তার কাছে ফোন এল। ফোনটা ধরার পর ওপাশ থেকে একজন ভদ্রলোক ইংরেজি ভাষায় যেটা বললেন তার মোদ্দা কথা হল— যুধিষ্ঠিরকে আবিষ্কারের জন্য উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের বিশ্বসম্মেলনে ওনারা পরিমলবাবুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। প্লেনের টিকিট ও হোটেলের বুকিং রিসিট ওনারা মেল করে পরিমলবাবুকে পাঠিয়ে দেবেন। তবে শুধু পরিমলবাবু নয়, ভারতের ভারতের আরেক গর্ব ডাঃ নিরুপম হাজরাকেও ওনারা আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

নিরুপমের মুখোমুখি পরিমলবাবু হতে চান না; কিন্তু এত বড়ো সুযোগ হাতছাড়া করা বোকামো। তাই সঠিক সময়ে যুধিষ্ঠিরকে নিয়ে তিনি রওনা হলেন বিশ্বসম্মেলনের উদ্দেশ্যে।

পৃথিবীর তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা এসেছেন এই বিশ্ব সম্মেলনের মঞ্চে। কয়েকজন খ্যাতনামা বিজ্ঞানীদের আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ব সম্মেলনের সূচনা হল। এরপর একে একে বিজ্ঞানীদের ডাকা হল তাদের আবিষ্কারের বিষয়ে বলার জন্য। দু’-একজনের পর নিরুপমের ডাক আসল। নিরুপম বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে তার আবিষ্কারের কথা বলতে শুরু করল— কীভাবে সে ‘মৌসম’ ধানের কথা ভাবল? কেন তার মাথায় এই ধানের কথা আসল? এইসব বিষয়ে সে নির্দ্বিধায় বলে চলল। তার আত্মবিশ্বাস পরিমলবাবুর মনে জ্বালা ধরিয়ে দিচ্ছিল। এই কথাগুলো তো পরিমলবাবুই একদিন নিরুপমকে বিশ্বাস করে বলেছিলেন। পরিমলবাবু মনে মনে ভাবলেন— নিরুপম তো কোনও বিজ্ঞানী নয়; ও আসলে একটা চোর। এসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতেই বিদ্যুৎ ঝলকের মতো ওনার মাথায় বুদ্ধিটা খেলে গেল।

নিরুপমের বক্তৃতা দেওয়া শেষ হতেই পরিমলবাবুর মঞ্চে ডাক পড়ল। পরিমলবাবু মঞ্চে উঠতে যাবেন এমন সময় নিরুপম তার কাছে এসে বলল, “বেস্ট অফ লাক!”

পরিমলবাবু মুচকি হেসে বললেন, “বেস্ট অফ লাক তোকেও।”

নিরুপম ওনার কথাটা শুনে অবাক হয়ে গিয়ে কিছুক্ষণ ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে থাকল। ততক্ষণে পরিমলবাবু মঞ্চে উঠে গেছেন। মঞ্চের মাঝখানে একটা টেবিলে যুধিষ্ঠিরকে রেখে পরিমলবাবু বললেন, “প্রথমেই আমি একজন ব্যক্তিকে ডেকে নিতে চাইব যুধিষ্ঠিরের কার্যকারিতা বোঝানোর জন্য।”

এরপর প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ডাঃ ডেরেক ব্রাউনকে মঞ্চে আসার অনুরোধ জানালেন পরিমলবাবু। ওনার অনুরোধ শুনে যুধিষ্ঠিরকে স্পর্শ করে ডাঃ ব্রাউন বললেন, “আমার বয়স বারো বছর।”

কথাটা বলার সঙ্গে সঙ্গে যুধিষ্ঠিরের পাতা লাল হয়ে গেল। এটা দেখে সারা হল হাততালিতে ফেটে পড়ল।

হাততালি থামার পর পরিমলবাবু বললেন, “যুধিষ্ঠির যতক্ষণ আগের অবস্থায় ফিরে আসছে ততক্ষণ আমি ক’টা কথা বলি এই বিষয়ে। মিথ্যা কথা বলার সময় আমাদের হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় ‌আর সাথে বাড়ে ঘামের পরিমাণ। ঘামের সাথে নিঃসৃত হয় একটা রাসায়নিক। এই রাসায়নিকের স্পর্শে যুধিষ্ঠিরের পাতার রং বদলে যায়। তবে রাসায়নিকটিকে এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। গবেষণা চলছে। আশা করা যায় খুব শীঘ্র এর হদিশ পাব।”

কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর পরিমলবাবু বললেন, “এবার আমি আমার বন্ধু ডাঃ নিরুপম হাজরাকে মঞ্চে ডাকতে চাইব।”

নিরুপমের মুখটা ভয়ে সাদা হয়ে গেছে। এখন সবার শাণিত দৃষ্টি তার দিকে। তাই বাধ্য হয়ে নিরুপমকে মঞ্চে আসতে হল।

নিরুপমের হাতটা কাঁপছে। সে কিছুতেই যুধিষ্ঠিরের গায়ে হাত রাখতে চাইছে না। পরিমলবাবু ওর হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে যুধিষ্ঠিরের পাতার উপর রাখল।

পরিমলবাবুর গলাটা শান্ত কিন্তু এক অদ্ভুত দৃঢ়তার সুরে বললেন, “সবাইকে বলুন, মৌসম ধান কি আপনার আবিষ্কার?”

নিরুপম কাঁপা কাঁপা কন্ঠস্বরে বলল, “হ্যাঁ, মৌসম ধান আমার আবিষ্কার।”

তৎক্ষণাৎ যুধিষ্ঠিরের পাতা লাল হয়ে গেল। ওর ডালপালা মুষড়ে পড়ল।

হলে তখন পিন পতনের নিস্তব্ধতা। পাঁচ–ছয় মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর যুধিষ্ঠির পূর্বের অবস্থায় ফিরে এল। এবার পরিমলবাবু যুধিষ্ঠিরের উপর হাত রেখে বললেন, “মৌসম ধান আমার আবিষ্কার। ডাঃ নিরুপম হাজরার নয়।”

যুধিষ্ঠিরের কোনও পরিবর্তন হল না। প্রথমে একটা হাততালির শব্দ শোনা গেল, তারপর দশটা আর অবশেষে সারা হল হাততালিতে ভরে উঠল। যুধিষ্ঠিরকে বুকে জড়িয়ে পরিমলবাবুর চোখ আনন্দাশ্রুতে ভরে উঠল। যুধিষ্ঠিরের পাতা দুলছে ; হয়তো সেও আজ আনন্দিত।