Hitopodesher Golpo
₹189.00
গল্প কুটিরের না পড়লেই মিস ক্যাটাগরিতে থাকছে বিষ্ণুশর্মার হিতোপদেশের গল্প। কথনে রণিত দাশগুপ্ত।
শুরুতেই লেখা আছে ভাগীরথীর তীরে পাটলিপুত্রের রাজার তিন পুত্রেরা প্রত্যেকেই শাস্ত্রজ্ঞানহীন, উচ্ছৃঙ্খল। পুত্রদের চিন্তায় তিনিও চিন্তিত। এই চিন্তায় তিনি এক পণ্ডিত সভার আয়োজন করলেন। সেখানে উপস্থিত থাকা মহাপণ্ডিত বিষ্ণুশর্মা রাজামশায়ের কথা শুনে বলছেন, ‘মহারাজ, আপনার রাজপুত্রেরা এক মহান রাজবংশে জন্ম নিয়েছে। পদ্মরাগমণির খনিতে যেমন কাচ পাওয়া যাবে না, তেমনই, এই বংশে নির্গুণ পুত্র জন্মগ্রহণ করতে পারে না। আমার মনে হয় আমি ছয় মাসের মধ্যে আপনার পুত্রদের নীতিশাস্ত্রে শিক্ষিত করতে পারব। এই কথা শুনে রাজা বিনয়ের সঙ্গে তাঁকে বললেন, ‘ফুলের সংসর্গে এসে কীটও সৎলোকের মাথায় স্থান পায়, মহাপুরুষের প্রতিষ্ঠিত পাথরও দেবত্ব লাভ করে। তাহলে আমার এই পুত্রদের নীতিশাস্ত্র উপদেশের ব্যবস্থা আপনিই করুন।’ এই বলে তিনি বিষ্ণুশর্মার হাতে তাঁর পুত্রদের শিক্ষার দায়িত্ব তুলে দিলেন।
এরপর কীভাবে রাজার রাজপুত্রেরা হয়ে উঠল গুণী, জ্ঞানী ও শাস্ত্রজ্ঞানসম্পূর্ণ?
শেষে দেখা যাচ্ছে, বিষ্ণু শর্মা বলছেন, ‘বলো আর কী তোমাদের বলব?’ রাজপুত্রেরা হাসিমুখে বলল, ‘আপনার অনুগ্রহে আমরা রাজ্য পরিচালনা সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে চরিতার্থ হয়েছি।’ শুনে বিষ্ণুশর্মা বললেন, ‘যদি তাই হয় তবে এও হোক – সন্ধি, বিজয়ী রাজাদের আনন্দের কারণ হোক। সাতজনের বিপদ থেকে মুক্তি হোক, পুণ্যবানদের কীর্তি আরও বেড়ে যাক। রাজ্যে নাচ-গান মহোৎসব হোক। আর যতদিন এই পৃথিবী থাকবে, ততদিন এই সব গল্পও থাকুক।