গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|

কোথাও হারহস, কোথাও হিংজা আবার কোথাও এলিচি শাক, স্থান ভেদে বদলেছে এর নাম। হেলেঞ্চা, হিঞ্চা, হিঞ্চে, হিংচা, হাড়হাচ, হেলচী, হিমলোচিকা (সংস্কৃত ভাষায়), তিতির ডগা, তিতির শাক, তিতির ডাটা, তিতা ডাটা বহু নামেই পরিচিত এই সপুষ্পক উদ্ভিদটি। এর পাতার কিনারা খাঁজকাটা এবং স্বাদে খানিকটা তেত। গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘Enhydra Fluctuans’। হেলেঞ্চা সাধারণত কাদা জল বা ডোবায় জন্মাতে দেখা যায়। সর্ব সাধারণের কছে খুব একটা পরিচিত না হলেও হেলেঞ্চার রয়েছে বেশ কিছু ঔষধি গুণ। এই শাক সেদ্ধ এবং ভাজা উভয়ভাবেই খাওয়া যায়।

হেলেঞ্চা শাকে শতকরা ২.৯ ভাগ প্রোটিন, ০.২ ভাগ ফ্যাট, ৫.৫ ভাগ শর্করা এবং ২.২ ভাগ লবণ রয়েছে। এছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ঔষধি গুণেও ভরপুর এই শাক। হেলেঞ্চা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, হাঁপানি, স্নায়ুরোগ, বাতের ব্যথা, ঘামাচি, হাত-পা জ্বালা ইত্যাদিত কমাতে সাহায্য করে।

হেলেঞ্চার উপকারিতা

দীর্ঘক্ষণ একই স্থানে বসে থাকলে বা শুয়ে থাকলে অনেকের কোমর অথবা দুই পা ফুলে যায় এবং ব্যথা করে বা অবস হয়ে পড়ে। নিয়ম করে হেলেঞ্চা শাক খেতে পারলে এই সমস্যা হতে মুক্তি পাওয়া যায়।

অনেকেই বাতের ব্যথা কিংবা মাংসপেশিতে ব্যথার শিকার। এই সমস্যার ক্ষেত্রে হেলেঞ্চা একটি কার্যকরী ভেষজ হিসেবে কাজ করে । এতে রয়েছে বেশ কিছু রাসায়নিক উপাদান যা শরীরের যেকোনও ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।

সাড়া বছরই আমার কম-বেশি সকলেই সর্দি-কাশিতে ভুগে থাকি, এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে উপযোগী হেলেঞ্চা। এতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সর্দি-কাশি কমিয়ে বুকে জমে থাকা কফ নরম করতে সহায়তা করে।

আমাদের জিহ্বতে অনেক সময় সাদা একধরণের স্তর পড়তে দেখা যায়। এর ফলে জিহ্বা ভারী মনে হয় এবং খাবারের স্বাদও ঠিক মতো পাওয়া যায় না। হিলেঞ্চা শাক খেলে এটি অনেকটা কমে। সঙ্গে খাবারের রুচি ফিরিয়ে দেয় এই শাক।

জ্বরে আক্রান্ত হলে এটি শাক খেলে উপকার পাওয়া যায়। শরীরের ব্যথা কমে এবং তাড়াতাড়ি সেরে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এই শাক রক্ত পরিষ্কার রাখতেও সহায়তা করে।

তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, আয়ুর্বেদিক টিপস