গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|
২০২০ সালে প্রথম শুরু হয় কোভিড-১৯-এর তাণ্ডব, খুব কম সময়ের মধ্যেই এই ভাইরাস অতিমারির রূপ ধারণ করে। এর জেরে বিঘ্নিত হয়েছে গোটা বিশ্বের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের প্রত্যেককে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। এটাই যে জীবন, না হলে যে জীবনটাই থেমে যাবে! আর তাই প্রতিবারের ন্যায় আরও একবার দুঃস্থদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বন্ধু চল বোহেমিয়ান।
তাঁরা গত ২ বছর ধরে এই সহযোগিতার কাজ করে চলেছেন। কলকাতা ও কলকাতার বাইরে কখনও বৃদ্ধাশ্রমের ঠাকুমা, দিদাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেন, কখনও অনাথ আশ্রমের ভাই ও বোনেদের তাদের পছন্দের জিনিস বা বই-খাতা, জামা-কাপড় দিয়েও তাদের পাশে থেকেছেন। বন্ধু চল বোহেমিয়ান এর আগে নদীয়ার একটি ইটভাটার শিশুদের প্রয়োজনীয় জিনিস ও খাদ্য সামগ্রী দেওয়া পাশাপাশি ইয়াসের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগণার নামখানায় ২৫০ জন মানুষকে সাধ্য মতো জামা-কাপড় এবং শুকনো খবার দিয়ে সাহায্য করেছেন। মাস কয়েক আগে মধ্যমগ্রাম সংলগ্ন ‘গৌরাঙ্গ গৌরীয়’ নামক একটি মহিলা অনাথ আশ্রমের ৬০ জন ছোট-বড় মেয়ের জন্য খাদ্য সামগ্রী, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এবং মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে তাঁরা সকলের মুখে হাসি ফোটান। সম্প্রতি তাঁরা ১৭ অক্টোবর, রবিবার পৌঁছে গিয়েছিলেন ঠাকুরপুকুর সালতিঘাটার ‘Voice Of World’ নামক একটি ব্লাইন্ড স্কুলে। সেখানকার ২০০ জন দৃষ্টিহীন ভাই ও বোন যারা কখনও দুই চোখ দিয়ে দেখতে না পেলেও মনের চোখ দিয়ে সব দেখতে পায়, তাদের প্রাতরাশ, দুপুরের খাবার এবং আনুষঙ্গিক কিছু জিনিস-পত্র দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাদের সঙ্গে হইচই করে কাটিয়েছেন সারাটা দিন। আসর জমেছিল সেইসব ভাই-বোনেদের অপূর্ব গান ও কবিতার মধ্যে দিয়ে।
সবার দুঃখ বা দুর্দশা হয়তো একসঙ্গে দূর করা সম্ভব নয়, তবে বন্ধু চল বোহেমিয়ান তাঁদের সাধ্যমতো আগামী দিনেও দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। আর এই কর্মকাণ্ডে আপনাদেরকে আমাদের পাশে দরকার, তাহলে বন্ধু চল বোহেমিয়ানের চলার পথ আরও সুগম হবে।
এতক্ষণ যাঁদের কথা আলোচনা করা হল, এবার তাঁদের সঙ্গে পরিচয় করে নেওয়া যাক – বন্ধু চল বোহেমিয়ানের অ্যাডমিন পিয়ালী নস্কর এবং সদস্যরা হলেন দ্রিমিতা সরকার, অমিতাভ দাশগুপ্ত, সঙ্গীতা দাস, কুহেলী নস্কর, শুভজিৎ নস্কর, পায়েল হালদার, শ্রেষ্ঠা দাস, দিপাঞ্জন সরকার, বিনোদ গোসাই, আকাশ সরদার, অনিতা প্রসাদ, অমিতাভ দে এবং সায়ন ত্রিপাঠী।