গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|
২০২০ সালে প্রথম শুরু হয় কোভিড-১৯-এর তাণ্ডব, খুব কম সময়ের মধ্যেই এই ভাইরাস অতিমারির রূপ ধারণ করে। এর জেরে বিঘ্নিত হয়েছে গোটা বিশ্বের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। মানুষ হারিয়েছে তাদের কাছের-দূরের আপনজনকে। কেউ বা হারিয়েছে তার গোটা পরিবারকে। টানা একবছর লড়াই করার পর ২০২১ সালে এসেও সেই পুরনো চিত্র বিদ্যমান। তবে বর্তমানে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের প্রত্যেককে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। এটাই যে জীবন, না হলে যে জীবনটাই থেমে যাবে! আর তাই প্রতিবারের ন্যায় আরও একবার দুঃস্থদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বন্ধু চল বোহেমিয়ান।
তাঁরা গত আড়াই বছর ধরে এই সহযোগিতার কাজ করে চলেছেন। কিছুদিন আগে নদীয়ার একটি ইটভাটার শিশুদের প্রয়োজনীয় জিনিস ও খাদ্য সামগ্রী দেওয়া পাশাপাশি ইয়াসের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগণার নামখানায় ২৫০ জন মানুষকে সাধ্য মতো জামা-কাপড় এবং শুকনো খবার দিয়ে সাহায্য করেছেন। সম্প্রতি বন্ধু চল বোহেমিয়ান-এর মূল কাণ্ডারি পিয়ালী নস্কর তাঁর ১৫ জন সদস্যকে নিয়ে ১২ জুলাই, সোমবার রথযাত্রার শুভ দিনে পৌঁছে গিয়েছিলেন মধ্যমগ্রাম সংলগ্ন ‘গৌরাঙ্গ গৌরীয়’ নামক একটি মহিলা অনাথ আশ্রমে। সেখানকার ৬০ জন ছোট-বড় মেয়ের জন্য খাদ্য সামগ্রী, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস এবং মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে তাঁরা সকলের মুখে হাসি ফোটায় এবং তাদের সঙ্গে ওই বিশেষ দিনটিকে বিশেষভাবে উপভোগ করেন।
‘বন্ধু চল বোহেমিয়ান’ পরিবারের পক্ষ থেকে আশ্রমের ছোট-বড় সকলের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে – চাল, ডাল, আলু, সয়াবিন, ছোলা, মুড়ি, বিস্কুট, লজেন্স, আম। এছাড়াও স্যানিটারি ন্যাপকিন, মাস্ক, সাবান এবং শ্যাম্পু দেওয়া হয়েছে। ওই দিন মধ্যাহ্নভোজের আয়োজনে ছিল ভাত, কচুশাক, মোচার ঘন্ট, বিভিন্ন ভাজা, লাউ ডাল, পটল পোস্ত, পনীরের তরকারি, চাটনি, পায়েস, মিষ্টি এবং মালপোয়া।
সবার দুঃখ বা দুর্দশা হয়তো একসঙ্গে দূর করা সম্ভব নয়, তবে বন্ধু চল বোহেমিয়ান তাঁদের সাধ্যমতো আগামী দিনেও দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। আর এই কর্মকাণ্ডে আপনাদেরকে আমাদের পাশে দরকার, তাহলে বন্ধু চল বোহেমিয়ানের চলার পথ আরও সুগম হবে।
এতক্ষণ যাঁদের কথা আলোচনা করা হল, এবার তাঁদের সঙ্গে পরিচয় করে নেওয়া যাক – বন্ধু চল বোহেমিয়ানের সদস্যরা হলেন পিয়ালী নস্কর, মিমো, কুহেলী নস্কর, অমিতাভ দাশগুপ্ত, দ্রিমিতা সরকার, সঙ্গীতা দাস, দিপাঞ্জন সরকার, পায়েল হালদার, রিয়াঙ্কা নস্কর দত্ত, শ্রেষ্ঠা দাস, শুভজিৎ নস্কর, আকাশ সরদার, অনিতা প্রসাদ, কিরণ বিশ্বাস, ডঃ মিলন মন্ডল, অমিতাভ দে এবং সায়ন ত্রিপাঠী।