রুমা প্রধান|

বৈশাখের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে গ্রীষ্মের দবদাহ। এই গরমে প্রতিদিনের একঘেয়েমি দূর করতে প্রয়োজন একটু রিফ্রেশমেন্ট। আর রিফ্রেশমেন্ট বললেই প্রথমে মাথায় আসে ওয়াটার পার্ক, তবে করোনার দাপট থাকা কালীন কোনও ওয়াটার পার্কে না যাওায়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তাই এমন কোনও জায়গায় সময় কাটাতে পারেন যা অপেক্ষাকৃত ভিড়ভাট্টাহীন এবং সবুজে ঘেরা। খাস কলকাতার বুকে এমনই একটা ডেস্টিনেশন হল ‘দ্য ক্রিক ক্লাব’। সম্প্রতি দ্য ক্রিক ক্লাবে শুরু হয়েছে বোটিং ব্যবস্থাও। ১৫ এপ্রিল, পয়লা বৈশাখের শুভ দিনে অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে সম্পন্ন হয়েছে বোটিং আনপ্লাগড-এর উদ্ধোধন পর্ব।

কলকাতার জোকায় এই ক্লাবে রয়েছে ছোট-বড়্র কটেজ, সবুজে ঘেরা পরিবেশ, সুইমিং পুল, ওয়াটার জরবিং, বিলিয়ার্ডস এবং খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা। এছাড়াও সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল এসি বোট অথবা প্যাডেল বোটে চেপে মনোরম পরিবেশ উপভোগ করা। আরও একটি বিষয় হল, যারা মাছ ধরতে পছন্দ করেন তাদের জন্যেও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। মাত্র ৩০০০ টাকার বিনিমনে ধরা যাবে ১৫ কেজি মাছ। এই সবকিছু একসঙ্গে উপভোগ করতে চাইলে পৌঁছে যেতেই হবে ক্রিক ক্লাবে।

দ্য ক্রিক ক্লাবের ডিরেক্টর বেবি সাহার কথায়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে খোলা আকাশের নীচে বোর্টিং-এর আনন্দ নিতে পারবেন। এটি পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে অনন্দে সময় কাটানোর উপযুক্ত ঠিকানা। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের জন্যেও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। আমরা মহামারির জন্য স্বাস্থ্যসম্মত সবরকম প্রোটোকল মেনেই উপযুক্ত পরিষেবা দিচ্ছি। এটি উইকেন্ডে খানিক স্বস্তি থেকে শুরু করে রোজকার একঘেয়েমি দূর করার আদর্শ স্থানও বলা যেতে। এর জন্য রয়েছে বিভিন্ন প্যাকেজের ব্যবস্থা”

ক্রিকে বোটিংয়ের উদ্বোধনে এসে অভিনেতা বিক্রম চ্যাটার্জিও খানিক বোর্টিং উপভোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমার মনে পড়ে, ছোটবেলায় গরমের ছুটিতে যখন মা-বাবা আমাকে এবং বোনকে নিয়ে বোটিং রাইডে যেতেন। ডে-আউটের জন্য বোটিং ভীষণই আনন্দদায়ক একটি অ্যাক্টিভিটি। এখানে কোনও দূষণ নেই, পরিবেশের একেবারে কাছে চলে যাওয়া। আমি আগেও এসেছি এখানে, তখন বোটিং শুরু হয়নি। The Creek Club is the ultimate weekend gataway for me, আমার খুব পছন্দের একটা জায়গা বলতে পারো।”

ছবি – গল্প কুটির, দ্য ক্রিক ক্লাব (ফেসবুক)