গল্প কুটির ওয়েব ডেস্ক|

ইটভাটার আগুনে পুড়ছে ইট, সেই সঙ্গে দিনের পর দিন পুড়ছে বহু শিশুর শৈশব এবং সপ্ন। পেটের দায় অনেক শিশুই লেখাপড়ার সুযোগ না পেয়ে শ্রমিক হিসাবে কাজ করছে। এভাবেই প্রতিনিয়ত হাজার হাজার শিশুর ভবিষ্যৎ পুড়ছে ইটভাটায় আগুনে। অধিক লাভের আশায় ইটভাটার নির্দয় মালিকেরা সরকারি আইন না মেনে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ করাচ্ছে ছোট ছোট শিশুদের। একেই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ তার উপর কম মজুরিতে খাটতে হয় ওই সকল শিশুদের। একদিকে পরিবারের অভাব আর অন‍্যদিকে একটু ভালো থাকার চেষ্টা, তাই একরকম বাধ্য হয়েই এই পথে হাঁটা তাদের।
যান্ত্রিক জীবনে আমরা সবাই যখন প্রতিযোগিতায় দৌড়ে ব্যস্ত, তখন নববর্ষের দিন ‘বন্ধু চল’ বোহেমিয়ান স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা পৌঁছে গেল নদিয়ার মাজদিয়ার পাপিয়া কর-এর স্কুল ‘ফুল ও পাখি আসরে’। ইটভাটার পাপিয়া করের স্কুলের মোট ৫০জন শিশুর জন্য তাঁরা দুপুরের ভোজের আয়োজন করে। ওই সকল শিশুদের বয়স ছিল ২-১৫ বছর। এছাড়াও মাস্ক, স্লেট, পেন্সিল, বিস্কুট, লজেন্স, জলের জগ এবং পোশাক তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে।


বন্ধু চল সংস্থার কথায়, “অসহায় মানুষদের সেবায় এবং প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াই হল আমাদের বন্ধু চল বোহেমিয়ানদের প্রধান ব্রত। এই কর্মসূচিতে যদি কোনও মানবিক ব্যক্তি আমাদের ‘বন্ধু চল’ সংস্থার সাথে পথ চলতে চান কিংবা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনাদের ছোট সাহায্য কিছু মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে।”
বন্ধু চল সদস‍্য ও সদস‍্যাবৃন্দরা হলেন – পিয়ালী নস্কর, কুহেলী নস্কর, অমিতাভ দাশগুপ্ত, সুমনা মিদ‍্যা, বাবাই দাস, বিনোদ গোসাই, দিপাঞ্জন সরকার, আকাশ সরদার, দ্রিমিতা সরকার এবং পাপাই ভট্ট।

যোগাযোগ – 9875545112/9163333959
অন্যান্য – 8240306757